সিকিম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশ। এর উত্তরে রয়েছে তিব্বত, পূর্ব দিকে ভুটান, পশ্চিমে নেপাল এবং দক্ষিণ দিকে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা শিলিগুড়ি থেকে এটি মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সিকিম কম জনবসতি সম্পন্ন ও ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য। পূর্ব হিমালয় এর একটা অংশ সিকিম প্রদেশের ভেতরে এসে পড়েছে। এই প্রদেশটির ৩৫ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক। ভারতের সর্বোচ্চ ও পৃথিবীর তৃতীয় পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা এ রাজ্যে অবস্থিত। যেটি এখানকার জীববৈচিত্র্যকে আরো ফুটিয়ে তুলেছে। সিকিমের রাজধানী হল গ্যাংটক। ছোট বড় পাহাড়-পর্বত, আর তার গা ঘেঁষে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা, পাহাড়ি বন, সবুজ প্রকৃতি, মনোরম পরিবেশ আর শীতের তুষার সিকিমকে করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে একটি স্বর্গরাজ্য। সিকিমের এই রুপ ঐশ্বর্যের জন্য একে “সুখী স্বদেশ” বলা হয়ে থাকে।
সিকিমের দর্শনীয় স্থানসমুহঃ
সিকিম প্রদেশটা পুরোটাই একটি পর্যটন এলাকা। এখানে অনেকগুলো টুরিস্ট পয়েন্ট আছে যার সবগুলোই দৃষ্টিনন্দন। তার ভেতরে কয়েকটি হল-
-গুরুদংমার লেক
-বুদ্ধ পার্ক
-নথুলা পাস
-জিরো পয়েন্ট
-সাঙ্গু লেক
-জুমথান ভ্যালি
-সিদ্ধেশ্বর ধাম
-রামটেক মঠ
-এম জি মার্গ
-হনুমান টক
-রাঙ্কা মঠ
-ছপ্তা ভেলি
-কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক
-সাই মন্দির
-জুলুক ওয়াইল্ডলাইফ এরিয়া
-সেভেন সিস্টার ওয়াটারফল
-নাথাং ভ্যালি
-কাঞ্চনজঙ্ঘা ওয়াটার ফল
-বাবা হরভজন সিং মেমোরিয়াল
-যগনোশালা আলপাইন অভয়ারণ্য এবং জলপ্রপাত
-রবন্তস রুইনস
-গনেশ টক
-নর্বুগাঙ্গ পার্ক
-সিঙ্গশোর সেতুসহ আরো অনেক স্থান। এখানকার প্রকৃতির রূপবৈচিত্রে নিঃসন্দেহে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।
সিকিমে ভ্রমনের সেরা সময়ঃ
যদিও সারা বছরই সিকিমে পর্যটকদের ভিড় জমে ও সবসময়ই এটি ভ্রমণ উপযোগী থাকে। তারপরেও কিছু কিছু সময় সিকিম ভ্রমনের জন্য খুবই উপযোগী। যেমন- গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসে সিকিম এর আবহাওয়া খুবই মনোরম ও সহনশীল থাকে, যার জন্য এসময় এটাকে সিকিম ভ্রমনের বেস্ট সময় বলা হয়ে থাকে।
আবার, শীতকালে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের ভেতরে পুরো সিকিম রাজ্যটি বরফে আবৃত থাকে। তাছাড়া এই সময়টাতে সিকিমে পর্যটকরাও খুব কম আসে, যার জন্য আপনি খুব সহজে এবং খুব কম খরচে হোটেলে রুম বুকিং দিতে পারবেন।
জুলাই থেকে মার্চ মাসের ভেতরে সিকিমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং মাঝে মাঝে ভূমিধসের মতো ঘটনা চোখে পড়ে। তাই এ সময় সিকিম ভ্রমণ না করাটাই ভালো।
সিকিমে কি কি করা যাবেনা?
সিকিম একটি সংরক্ষিত এলাকা এবং সর্বজনের প্রবেশাধিকার নেই। সেহেতু এখানে কিছু রেস্ট্রিকশন আছে যেমন- এখানে আপনি ধূমপান করতে পারবেন না, যেখানে সেখানে থুথু ফেলতে পারবেন না, এমন কোন কাজ করতে পারবেন না যাতে এখানকার জীববৈচিত্রের কোন ক্ষতি সাধিত হয়। তাছাড়া অবৈধ কোনো কিছু নিয়েই আপনি সিকিম প্রদেশের ভেতর প্রবেশ করতে পারবেন না।
সিকিমে প্রবেশ করতে হলে আপনার যা যা দরকার হবেঃ
সিকিম খুবই সংরক্ষিত একটি এলাকা। যার জন্য এখানে বাইরের কেউই বাধাহীনভাবে প্রবেশ করতে পারে না। সিকিম এ প্রবেশ করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দরকার হবে। তাছাড়া এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল তাই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ও ভারতীয় ভিসা প্রয়োজন হবে। এগুলো ছাড়াও আপনি সিকিমে প্রবেশ এর জন্য আপনার একটি পারমিট এর প্রয়োজন হবে যেটা আপনি বাংলাদেশ থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন আবার সিকিম গেট থেকে Foreigners Reporting Office কাছ থেকে “Inner line permite/ Respected area permite” নিতে পারবেন।
সিকিম গেট থেকে পারমিশন নিতে হলে আপনার ৩কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ১টি পাসপোর্টের ফটোকপি ও ১টি ভিসার ফটোকপি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ১০০ থেকে ২০০ রুপি।
বাংলাদেশ থেকেই যেভাবে পারমিশন নিবেনঃ
IVAC অর্থাৎ Indian visa application center এর ওয়েবসাইট(www.ivacbd.com) থেকে আপনাকে একটি তিন পৃষ্ঠার ফর্ম ডাউনলোড করে নিতে হবে (চায়লে অনলাইনেও পুরন করতে পারেন) এবং নিচের নির্দেশনা অনুযায়ী ফরমটি পূরণ করে এম্বাসিতে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে ৭-১০ দিনের জন্য আপনি সিকিম ভ্রমনের পারমিশন পেয়ে যাবেন এবং এর জন্য আপনাকে প্রায় ৩০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে।
১. আবেদনপত্রের সাথে একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিন।
২. আবেদনপত্রে আপনার ফোন নম্বর উল্লেখ করুন।.
৩.আবেদনপত্রের ১৪ নম্বর পয়েন্টে ভ্রমণের সুনির্দিষ্ট স্থান উল্লেখ করুন। যেমন: শুধু সিকিমের পরিবর্তে গ্যাংটক লিখুন।.
৪. যদি সপরিবারে বা কোন দলের সাথে ভ্রমণ করে থাকেন তবে দলের/পরিবারের সকল সদস্যের নাম আবেদনপত্রের ১৯ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করতে হবে।
৫. আবেদনপত্রের ১৫ নম্বর পয়েন্টে ভ্রমণের সুনির্দিষ্ট রুট ও মাধ্যম উল্লেখ করুন। যেমন-আকাশপথে ঢাকা-কলকাতা-গ্যাংটক।
৬. আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই পাসপোর্ট ও বৈধ ভারতীয় ভিসার ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
৭. যাত্রা শুরু ও ফেরার তারিখ আবেদনপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
সিকিমে প্রবেশের সময় সিকিম গেটে আপনাকে পারমিশনটি শো করতে হবে। তখন তারা আপনার পাসপোর্টে একটি সিল মেরে দিবে অর্থাৎ সিকিমে প্রবেশের জন্য আপনাকে অনুমতি দান করবে।
সিকিম ভ্রমণে গিয়ে কোথায় থাকবেন?
সিকিম যেহেতু একটি পর্যটন এলাকা, তাই এখানে অসংখ্য হোটেল আছে। যেখানে আপনি চায়লে আপনার থাকার বন্দোবস্তো করতে পারেন। আপনার বাজেটের উপর ভিত্তি করে আপনি বিভিন্ন হোটেলে বিভিন্ন ফ্যাসিলিটির রুম পেয়ে যাবেন। মুল কথা হল আপনি যেমন রুম চান তেমন খরচ করতে হবে।
নিচে সিকিমের কিছু জনপ্রিয় হোটেল এবং রিসোর্ট এর নাম দেওয়া হলো। যেগুলোতে আপনি সর্বোচ্চ পরিমাণ সুবিধা পাবেন এবং সাধারণত বেশিরভাগ পর্যটকরাই ভ্রমণের জন্য এই জায়গা গুলো বেছে নেয়।
-চুম্বি মাউন্টেন রিসোর্ট ও স্পা
-মেফায়ার স্পা রিসোর্ট এবং ক্যাসিনো
-Welcomheritage Denzong রিজেন্সি
-টেরেস ভ্যালি হোটেল
-শারমসার রিসোর্ট
-ইরাল রিসোর্ট
-এলগিন মাউন্ট পণ্ডিম রিসর্ট
সিকিম ভ্রমণের কিছু দরকারি টিপসঃ
যেহেতু সিকিমের বেশিরভাগ পর্যটক এলাকা রেস্ট্রিকটেড অঞ্চলে অবস্থিত, তাই এই এলাকাসমূহ ভ্রমণের জন্য কিছু পারমিটের প্রয়োজন হয়। আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা অনুসারে আপনি পর্যটন বিভাগ, বন বিভাগ এবং সেনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে পারেন। ঝামেলাহীন ভ্রমণের জন্য আমি পরামর্শ দিবো যে, আগে থেকেই পারমিশন নিয়ে রাখুন এবং নিচের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন।
-মঠ বা মন্দির পরিদর্শন করার সময় সিকিমের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান করুন।
-আবহাওয়া সারা বছর ধরে শীতল থাকে তাই, সবসময় সাথে শিতের কাপড় রাখতে ভুলবেন না।
-এডভেঞ্চারাস ভ্রমণের জন্য, সর্বদা একটি লাইসেন্সযুক্ত ট্যুর অপারেটর সাথে রাখুন যে আপনাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করবে।
-পার্ক, বন্যপ্রাণী, অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করার সময় পরিচ্ছন্নতা নীতিমালা মেনে চলুন।
– পাহাড়ে বাইক অথবা কার চালানোর মতো কাজ সব সময় একটি গ্রুপের সাথে করুন, কখনো একা একা করতে যাবেন না।
সিকিমে যেভাবে যাবেনঃ
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সিকিম এ যাওয়ার জন্য আপনি কোনো বাস ট্রেন অথবা বিমান পাবেন না। সিকিমে পৌঁছানোর জন্য আপনার কয়েকটি স্টপে থামতে হতে পারে। চলুন দেখে আসি বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি কিভাবে সিকিম পৌঁছাবেন।
বাস ও ট্রেনে যেভাবে যাবেনঃ
বাস অথবা ট্রেনে প্রথমে আপনাকে বেনাপোল যেতে হবে। কিছু কিছু বাস যেমন গ্রীন লাইন, সৌহার্দ্য, শ্যামলী ইত্যাদি সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত সার্ভিস দেয়। আপনি চাইলে এগুলোতেও যেতে পারেন। তো যাই হোক বেনাপোল নামার পর আপনাকে বর্ডার পার হতে হবে। বর্ডার পার হওয়ার পর কলকাতা চলে যাবেন। কলকাতা থেকে ট্রেনে ১১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছে যাবেন এবং সেখান থেকে জিপ গাড়িতে তিন হাজার টাকার মতো খরচ করলে আপনি সিকিম পৌঁছে যাবেন।
বিমানে যেভাবে সিকিম যাবেন:
সরাসরি সিকিমে বাংলাদেশ থেকে কোন বিমান সার্ভিস চালু নেই। তাই এক্ষেত্রেও আপনাকে মাঝে একটি স্টপে থামতে হবে। প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে কোলকাতা যেতে হবে এবং কোলকাতা থেকে সিকিম এর নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট পায়কইয়ং এ নামতে হবে।
আর একটা কথা বিমান ভ্রমণের জন্য আপনার অবশ্যই পাসপোর্ট এবং ভারতীয় ভিসা দরকার হবে। কারণ এটি ডোমেস্টিক বিমান ভ্রমণ নয়। আর আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে ইন্টারন্যাশনাল ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং ভিসা করতে হয়। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে আসি কিভাবে ঢাকা থেকে কোলকাতা বিমানে যাবেন। তার সকল তথ্য নিচে দেওয়া হল-
বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স:
ঢাকা থেকে কোলকাতাঃ
প্রতিদিন ২টি ও সপ্তাহে ১২ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ BG-91
টেক-অফের সময়ঃ 07.00 am
ফ্লাইট নংঃ BG-95
টেক-অফের সময়ঃ 07.50 am
ভাড়াঃ ৭৩০০ টাকা থেকে শুরু
Business Flexible: 16,044৳
কোলকাতা থেকে ঢাকাঃ
প্রতিদিন ২ টি ও সপ্তাহে ১২ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ BG-92
টেক-অফের সময়ঃ 08.05 am
ফ্লাইট নংঃ BG-96
টেক-অফের সময়ঃ 09.00 am
ভাড়াঃ- ৫৬০০ ইন্ডিয়ান রুপি থেকে শুরু
নভোএয়ারঃ
ঢাকা থেকে কোলকাতাঃ
প্রতিদিন ২ টা ও সপ্তাহে ১৪ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃVQ721– 12.30 pm
ফ্লাইট নংঃVQ723– 4.50 pm
ভাড়াঃ ৬০০০ টাকা থেকে শুরু
কোলকাতা থেকে ঢাকাঃ
প্রতিদিন ২ টা ও সপ্তাহে ১৪ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃVQ722– 02.15 pm
ফ্লাইট নংঃVQ724– 06.10 pm
ভাড়াঃ- ৫২০০ ইন্ডিয়ান রুপি থেকে শুরু
রিজেন্ট এয়ারওয়েজঃ
ঢাকা থেকে কোলকাতাঃ
প্রতিদিন ১ টা ও সপ্তাহে ৭ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ RX0791– 10.30 am
ভাড়াঃ ভাড়াঃ- ৫৬০০ টাকা থেকে শুরু
কোলকাতা থেকে ঢাকাঃ
প্রতিদিন ১ টা ও সপ্তাহে ৭ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ RX0792– 03.30 pm
ভাড়াঃ- ৫১০০ ইন্ডিয়ান রুপি থেকে শুরু
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সঃ
ঢাকা থেকে কোলকাতাঃ
প্রতিদিন ২১ টা ও সপ্তাহে ৭ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ BS201– 10.00 am
ভাড়াঃ- ৫৬০০ টাকা থেকে শুরু
কোলকাতা থেকে ঢাকাঃ
প্রতিদিন ১ টা ও সপ্তাহে ৭ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ BS204– 02.55 pm
ভাড়াঃ- ৫৭০০ টাকা থেকে শুরু
কোলকাতা থেকে সিকিম যেভাবে যাবেনঃ
কোলকাতা নামার পর মাত্র ২৮০০ থেকে ১২ হাজার রুপি খরচ করলেই কলকাতা থেকে বিমানে পাইকইয়ং এয়ারপোর্টে নামতে পারবেন। অথবা আপনি যদি চান তাহলে কলকাতা থেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি আর শিলিগুড়ি থেকে জিপে সিকিম যেতে পারবেন।
বিমানের টিকিট কিভাবে করবেনঃ
বিমানের টিকিটের এত ডিটেইলস দেখে আপনারা হয়তো ভাবছেন কিভাবে এবং কোথা থেকে বিমানের টিকিট বুক করলে সুবিধা হবে? বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুক করার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এজেন্সিগুলো সকল এয়ারলাইন্সের টিকিটের মূল্যের একটি কম্বিনেশন করে আপনার সামনে উপস্থাপিত করে। এরকমই একটি ওয়েবসাইট হলো (www.flyticket.com.bd)। বিমানের টিকিট বুকিং এর জন্য ওয়েবসাইটটি খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও এখান থেকে আপনি খুব সহজেই যেকোনো বিমান টিকিট কিনতে পারবেন।
আশা করি এই ট্রাভেল গাইডটি সিকিম ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে খুব ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করবে। সর্বোপরি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আপনার ভ্রমণ সুন্দর হোক।