ঢাকা, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু অর্থাৎ, রাজধানী।
উঁচু উঁচু দালান-কোঠা, গাড়ির জঞ্জাল আর কোটি মানুষের ব্যাস্ততায় আর কোলাহলে সারাদিন মেতে থাকে এ শহরটা।
আর রাতের বেলা সিটি লাইটের ঝলমলে আলোতে অনন্য রুপে স্বাজে শহরটা।
কিন্তু এ শব্দ থামার কোনো নামই নেয় না। এককথায় বলা চলে শহরটা একটু বেশি মাত্রায় যান্ত্রিক।
কিন্তু এইসব থেকে প্রায় ৪১৫ কিলোমিটার এর মতো দূরে, ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত মায়ানমারের(বার্মা) সীমান্তবর্তী জেলা হলো কক্সবাজার।
বাংলাদেশের বাণিজ্য রাজধানী ও পর্যটন বিভাগ চট্টগ্রামের একটি জেলা এটি।
ঢাকা শহরের এই জ্যাম আর ব্যাস্ততাকে কিছু সময়ের জন্য দূরে ঠেলে যদি কখনো একটু অবসর সময় পান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন রুপ ঐশর্যের শহর ও পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার থেকে।
কেনো কক্সবাজারে ঘুরতে যাবেন?
কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রকৃতির সৌন্দর্যে সুপ্রসিদ্ধ পর্যটন অঞ্চল। কক্সবাজারকে বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। ঢাকা, বাংলাদেশের প্রানকেন্দ্র ও প্রশাসনিক রাজধানী। বড় বড় দালান, গাড়ির হর্ন আর কোটি মানুষের ব্যাস্ততায় আর কোলাহলে সারাদিন মেতে থাকে শহরটা। আর রাতে নিয়ন বাতির আলোতে নানান রুপে স্বাজে শহরটা, কিন্তু এ শব্দ থামার কোন নামই নেয় না। মানে, এককথায় বলা চলে শহরটা একটু বেশি মাত্রায় যান্ত্রিক। কিন্তু এইসব থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মায়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা হল কক্সবাজার। বাংলাদেশের বাণিজ্য রাজধানী চট্টগ্রামের একটি জেলা এটি।
ঢাকা শহরের এই জ্যাম আর ব্যাস্ততাকে দূরে ঠেলে যদি কখনো একটু অবসর সময় পান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন রুপ ঐশর্যের শহর, পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার থেকে।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানসমূহঃ
কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্রটি মূলত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত টি কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। লাবনী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অখন্ড ভাবে ১২০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত। এছাড়াও-
-মহেশখালী
-কুদুবদিয়া
-সোনাদিয়া
-মাতার বাড়ি
-শাহপরী
-সেন্টমার্টিন কক্সবাজারকে করেছে আরো ভ্রমণোপযোগি, আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন।
নদী-নালার সংখ্যাও কম নয় এ জেলাটিতে।
এর বুকের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে-
-মাতা মুহুরী
-বাঁকখালী,
-রেজু,
-কুহেলিয়অ ও
-নাফ নদী
বনজসম্পদ, মৎসসম্পদ, পর্যটন, ও সামুদ্রিক উপাদানের জন্য কক্সবাজার তাই ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের কাছে সবার উর্ব্ধে।
কিভাবে যাবেন ও খরচ কেমন?
ঢাকা থেকে আপনি কক্সবাজারে সড়ক, রেল এবং আকাশ এই তিনটি পথেই যেতে পারবেন। কিন্তু, দূরত্ব খুব বেশি হওয়ার কারণে বিমান ভ্রমণই আপনার জন্য ইফেক্টিভ হবে। কারণ, এতখানি দূরত্ব সড়ক অথবা রেলপথে ভ্রমণ করতে গেলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আর হয়তো শেষমেশ আপনার ট্যুরের উদ্দেশ্যটায় পন্ড হয়ে যাবে। তারপরও জেনে রাখুন কোন পথে কিভাবে যাবেন এবং কত খরচ আসতে পারে।
বাসে যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা কক্সবাজার রুটে এসি এবং ননএসি দুই ধরনের বাস সার্ভিসই আছে। নন এসিতে আপনার খরচ হবে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা। আর এসিতে খরচ হবে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এই রুটে যে বাসগুলো সার্ভিস দিয়ে আসছে সেগুলো হলোঃ
নন-এসিঃ
-দেশ ট্রাভেলস
-তুবা লাইন
-এনা ট্রান্সপোর্ট
-ইউনিক সার্ভিস
-শ্যামলী পরিবহন(এন আর)
-শ্যামলী পরিবহন(এসপি)
-ইয়ার ৭১
-টি আর ট্রভেল্স
-ঈগল পরিবহন
-এস আই এন্টারপ্রাইজ
-হানিফ এন্টারপ্রাইজ
-ইকোনো
-রয়েল কোচ
-সেইন্টমার্টিন পরিবহন
-এস আলাম সার্ভিস
এসিঃ
-টি আর ট্রাভেল্স
-শ্যামলী পরিবহন(এনআর)
-শ্যামলী পরিবহন(এসপি)
-এনা ট্রান্সপোর্ট
-ঈগল পরিবহন
-গ্রীন লাইন
-রিলেক্স ট্রান্সর্পোট
-সোহাগ পরিবহন
-সেইন্টমার্টিন পরিবহন
-স্টার লাইন
-হানিফ এন্টাপ্রাইজ
-তুবা লাইন
-দেশ ট্রাভেল্স
-রয়েল কোচ
-ইয়ার ৭১
-সেইন্টমার্টিন ট্রাভেলস
-সেইন্টমার্টিন হোন্দায়
-প্রেসিডেন্ট ট্রাভেলস
-শান্তি পরিবহন
-সিল্ক লাইন ট্রাভেলস
ট্রেনে যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ২৮০ থেকে ৫০০ টাকার ভেতরে আপনি রেল যাত্রা করতে পারেন। এই রুটে যে ট্রেনগুলো চলে, সেগুলো হলো-
-সোনার বাংলা
-সুবর্ণ এক্সপ্রেস
-তূর্ণা-নিশীথা
-মহানগর প্রভাতী/গোধূলী
-চট্টগ্রাম মেইল
বিমানে যেভাবে ভ্রমন করবেনঃ
বর্তমানে চারটি এয়ারলাইন্স ঢাকা টু কক্সবাজার এবং কক্সবাজার টু ঢাকা রুটে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সেগুলো হলোঃ-
- বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স
- নভোএয়ার
- রিজেন্ট এয়ারওয়েজ
- ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স
এয়ারলাইন্সগুলোর ভেতরে নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স -এরা সপ্তাহে সাত দিনই ঢাকা টু কক্সবাজার এবং কক্সবাজার টু ঢাকা রুটে এদের সার্ভিস দেয়। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর শনিবারে কোন ফ্লাট নেই, বাকি ৬ দিন ফ্লাইট আছে।
এখন তাহলে বিস্তারিত জেনে আসি বিমানগুলোর সময়সূচী এবং ভাড়া সম্পর্কে:
বিমানের ভাড়া সম্পর্কে বলার আগে কিছু কথা বলে নিই। “অকেশনালি বিমানের ভাড়া পরিবর্তন হয়, যেমন- পর্যটন মৌসুমে অর্থাৎ শীত ও বসন্তের সময় বিমানের ভাড়া খুব বেশি থাকে। আবার কোনো কোনো ছুটির দিনেও টিকিটের মূল্য বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় এমনও হয় যে, এয়ারলাইন্সগুলো বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট এবং অফার দিয়ে থাকে। যার জন্য বিমানের ভাড়া সবসময় একইরকম থাকে না, পরিস্থিতি ভেদে পরিবর্তিত হয়।” নিচে স্বাভাবিক অব্সাতে বিমানের ভাড়া উল্লেখ করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স:
ঢাকা থেকে কক্সবাজার-
প্রতিদিন ১টি ও সপ্তাহে ৬ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ BG-433
টেক-অফের সময়ঃ 11.00 am
ভাড়াঃ
- Economy Special: 6,500৳
- Super Saver: 4,200৳
- Economy Saver: 5,500৳
- Economy Flexible: 6,900৳
- Business Saver: 8,500৳
- Business Flexible: 9,000৳
কক্সবাজার থেকে ঢাকা-
প্রতিদিন একটি ও সপ্তাহে ছয়টা ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ BG-434
টেক-অফের সময়ঃ 12.35 pm
ভাড়াঃ-
- Economy Special: 6,500৳
- Super Saver: 4,200৳
- Economy Saver: 5,500৳
- Economy Flexible: 6,900৳
- Business Saver: 8,500৳
- Business Flexible: 9,000৳
নভোএয়ারঃ
ঢাকা থেকে কক্সবাজার –
প্রতিদিন ৫ টা ও সপ্তাহে ৩৫ টি ফ্লাইট
- ফ্লাইট নংঃVQ931– 8.30 am
- ফ্লাইট নংঃVQ933– 9.15 am
- ফ্লাইট নংঃVQ935– 11.40 am
- ফ্লাইট নংঃVQ937– 1.30 pm
- ফ্লাইট নংঃVQ939– 3.00 pm
ভাড়াঃ
- Special Promo: 4,500৳
- Promo: 5,000৳
- Special: 6,000৳
- Discount: 7,000৳
- Saver: 8,000৳
- Flexible: 9,000৳
কক্সবাজার থেকে ঢাকা –
প্রতিদিন ৫ টা ও সপ্তাহে ৩৫ টি ফ্লাইট
- ফ্লাইট নংঃVQ932– 10.05 am
- ফ্লাইট নংঃVQ934– 10.50 am
- ফ্লাইট নংঃVQ936– 01.15 pm
- ফ্লাইট নংঃVQ938– 03.05 pm
- ফ্লাইট নংঃVQ940– 04.35 pm
ভাড়াঃ-
- Special Promo: 4,500৳
- Promo: 5,000৳
- Special: 6,000৳
- Discount: 7,000৳
- Saver: 8,000৳
- Flexible: 9,000৳
রিজেন্ট এয়ারওয়েজঃ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারঃ
প্রতিদিন ২ টা ও সপ্তাহে ১৪ টি ফ্লাইট
- ফ্লাইট নংঃ RX0741– 10.15 am
- ফ্লাইট নংঃ RX1741– 01.20 pm
ভাড়াঃ
- Business Flexible: 11,000৳
- Business Discount: 10,500৳
- Premium Economy: 9,800৳
- Economy super plus: 9,500৳
- Economy Super Flexible: 9,200৳
- Economy Super: 8,500৳
- Economy Flexible: ৳7,750
- Economy Freedom: 7,200৳
- Economy Restricted : 6,600৳
- Economy Saver: 5,800৳
- Economy Special: 5,200৳
- Economy Promo: 4,700৳
- Super Saver : 4,500৳
- Special Promo: 4,200৳
- Special : 3,999৳
- Promo: N/A
Discounted: N/A
কক্সবাজার থেকে ঢাকাঃ
প্রতিদিন ২ টা ও সপ্তাহে ১৪ টি ফ্লাইট
- ফ্লাইট নংঃ RX0742– 11.45 am
- ফ্লাইট নংঃ RX1742– 02.50 pm
ভাড়াঃ
- Business Flexible: 11,000৳
- Business Discount: 10,500৳
- Premium Economy: 9,800৳
- Economy super plus: 9,500৳
- Economy Super Flexible: 9,200৳
- Economy Super: 8,500৳
- Economy Flexible : ৳7,750
- Economy Freedom: 7,200৳
- Economy Restricted : 6,600৳
- Economy Saver: 5,800৳
- Economy Special: 5,200৳
- Economy Promo: 4,700৳
- Super Saver : 4,500৳
- Special Promo: 4,200৳
- Special : 3,999৳
- Promo: N/A
- Discounted: N/A
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সঃ
ঢাকা থেকে কক্সবাজারঃ
- প্রতিদিন ২ টা ও সপ্তাহে ১৪ টি ফ্লাইট
- ফ্লাইট নংঃ BS141– 10.40 am
- ফ্লাইট নংঃ BS145– 02.45 pm
ভাড়াঃ
- Saver: 5,200৳
- Flex Plus: 6,800৳
- Business Saver: 10,500৳
কক্সবাজার থেকে ঢাকাঃ
প্রতিদিন ২ টা ও সপ্তাহে ১৪ টি ফ্লাইট
ফ্লাইট নংঃ BS142– 12.05 pm
ফ্লাইট নংঃ BS146– 04.10 pm
ভাড়াঃ
Saver: 5,200৳
Flex Plus: 6,800৳
Business Saver: 10,500৳
টিকিট কিনবেন কোথা থেকে?
বিমানের টিকিটের এত ডিটেইলস দেখে আপনারা হয়তো ভাবছেন কিভাবে এবং কোথা থেকে বিমানের টিকিট বুক করলে সুবিধা হবে? বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুক করার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এজেন্সিগুলো সকল এয়ারলাইন্সের টিকিটের মূল্যের একটি কম্বিনেশন করে আপনার সামনে উপস্থাপিত করে। এরকমই একটি ওয়েবসাইট হলো ফ্লাইচিশতি (www.flychisty.com)। বিমানের টিকিট বুকিং এর জন্য ওয়েবসাইটটি খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও এখান থেকে আপনি খুব সহজেই যেকোনো ডোমেস্টিক বিমান টিকিট কিনতে পারবেন।
কখনো সময় করে উঠতে পারলে কক্সবাজার থেকে সমুদ্রস্নান করে আসতে অথবা কক্সবাজার থেকে ঢাকা গিয়ে কিছু সময়ের জন্য যান্ত্রিকতায় গা এলিয়ে দিতে ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।